একাট্টা
ইচ্ছে করে তুষারমানব হবো, ধূসর মেরুতে হারাবো শীতল শূন্যতায়। যখন পৃথিবী ব্যস্ত তাদের মন মাতানো উষ্ণতায়, উল্লাসের সিক্ততায়, পারস্পরিক লুকিয়ে রাখা তিক্ততায়। ইচ্ছে করে বৈমানিক হবো, হারিয়ে যাব অসীম নীলিমায়, এফ সিক্সটিন বিমান নিয়ে ক্র্যাশ ল্যান্ড করবো সাহারার বিস্তর মরুপ্রান্তরে। ভালোবাসা যেথায় মরীচিকা হয়ে ঘোরে, বোকা বিশ্বের প্রতিফলন হয়ে, শূণ্যতার আত্মাগুলো যেথায় ঘুরতে থাকে ধূলিঝড়ের তীব্র ক্রোধের গোলকে, বেপরোয়া দিগবিজয়ী সম্রাটের সাজে। আমায় যেন টেনে নেয় সেই শূণ্যতা, একঘরে মরুর ধূলিগুলো তবে পাবে পূর্ণতা, আমার সংমিশ্রণে। ইচ্ছে করে নভোচারী হবো, মুক্তিবেগের ধাঁধায় ফেলে, পালিয়ে যাব এই সুন্দর বায়ুমন্ডল ছেড়ে। উড়াল দেবো অসীম শূণ্যতায়, একাকীত্বের কোলাহল যেখানে লক্ষকোটি গ্যালাক্সির রূপে ভাসে। হারিয়ে যাব তাত্ত্বিক সময়সুড়ংগে, ফলিত গিনিপিগ হয়ে। কৃষ্ণগহবরে শোষিত হবে আমার এই পার্থিব আলো। সেই আলো, যা এসেছে জনাকীর্ণ পৃথিবী গ্রহের রঙিন সভ্য মানুষের কোলাহল থেকে। যখন সব আলো নিভে যাবে, আবার জ্বলন্ত উল্কা হয়ে জ্বলতে জ্বলতে আছড়ে পড়ব কোন এক বিস্তীর্ণ বেরসিক মৃতগ্রহের ধূ ধূ প্রান্তরে। মরুসমাধি হবে এই বিষাক্ত পাপে ভর